নয়াদিল্লি: শুক্রবারই চিন ১৫ দিনের কৈলাস মানস সরোবর যাত্রায় বেরিয়েছেন রাহুল গাঁধী। আর তা নিয়েই বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের কটাক্ষ, উনি সব ভাষণেই চিনের উল্লেখ করেন। ভারত নয়, ওনার আচরণ চিনের প্রতিনিধির মতো। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির এই নেতা বলেন, রাহুল চান, ভারত চিনের কাছ থেকে গণতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ শিখুক। কেন ওনার এতটা চিন-প্রীতি, ভারতের চেয়ে বেশি চিনের মুখপাত্রের মতো আচরণ করেন উনি? রাহুলকে ‘চাইনিজ গাঁধী’ বলেও খোঁচা দেন সম্বিত। তাঁর দাবি, রাহুল বিমানে নেপালে সেখান থেকে চিন যাবেন। চিনের প্রতি প্রবল আকর্ষণ আছে রাহুলজীর। নয়তো সব ব্যাপারেই ভারতীয় মত, ভাবনাচিন্তা নয়, চিনা মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে যান কেন? কংগ্রেসের কাছে জানতে চাই, নিজের প্রিয় দেশ চিনে কোন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন উনি? কথাই বা হবে কী নিয়ে? রাহুল চিন সম্পর্কে নিজের মতামত দিচ্ছেন বা সে দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন, এরকম তিন মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বিজেপি। সম্বিতের দাবি, রাহুল চেয়েছিলেন, চিনা রাষ্ট্রদূত তাঁকে এই যাত্রার আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানান। সেইমতো চিনা রাষ্ট্রদূত ভারত সরকারের কাছে অনুমতিও চেয়েছিলেন, যদিও তাঁর চিঠির জবাব দেওয়া হয়নি। সম্বিত বলেন, আপনি রাহুল গাঁধী, চাইনিজ গাঁধী নন। কেন চিনা রাষ্ট্রদূত এমন একজনকে বিদায় জানাতে চাইলেন যিনি চিনা নন! এমন কোনও প্রটোকলই নেই। এই সম্পর্কের নাম কী? ডোকলাম নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্বের মধ্যে রাহুলের এদেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা নিয়েও আপত্তি তোলেন বিজেপি মুখপাত্রটি। বলেন, আমরা সবাই জানি, রাহুল গাঁধী দিল্লিতে চিনা দূতাবাসের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রথমে তা অস্বীকার করে পরে মেনে নেওয়া হয়, ডোকলাম সমস্যার সময় এই সাক্ষাত্ হয়েছিল। সবটাই কিন্তু হয়েছিল ভারত সরকারকে বিন্দুমাত্র না জানিয়েই। উনি প্রটোকল ভেঙেছেন। গত বছরের জুলাইয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের খবর সম্পর্কে কংগ্রেস প্রথমে প্রতিক্রিয়া দিতে না চাইলেও পরে জানায়, রাহুল চিনা প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে কথা হয় তাঁদের। রাহুল নিজেও ট্যুইট করেন, গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা আমার কাজ। তবে সম্বিতের আক্রমণের জবাবে পাল্টা কংগ্রেস বলেছে, শিবভক্ত রাহুলের যাত্রায় বাধা দিচ্ছে বিজেপি। এটা পাপ। ওরা অভিশাপ পাবে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা রাহুলের চিনের পথ ধরে মানস সরোবর যাত্রার খবর সম্পর্কে বলেন, সুরক্ষার কারণেই ওনার সফরের রুট প্রকাশ্যে বলা যাবে না। কেউ তীর্থে বেরলে তার সাফল্য কামনা করে লোকে প্রার্থনা, আশীর্বাদ করে। কিন্তু শাসক দলের লোকজন সঙ্কীর্ণ স্বার্থে নানা প্রশ্ন করছেন। তবে রাহুল ও শিবের মাঝখানে কেউ বাধা হতে পারবে না। রাহুলের দেশগঠনের মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ হবে। বিজেপি কি জানে, কৈলাস মানসসরোবর কোথায়? ওটা চিনের কব্জায় থাকা তিব্বতে। মোদীজী, অমিত শাহও কেন সেখানে যাচ্ছেন না? সমস্যা আছে? প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির প্রেক্ষিতে রাহুল কৈলাস মানস সরোবর যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
from home https://ift.tt/2NBEf7i
No comments:
Post a Comment
Please let me know