<strong>নওগাঁ (অসম)</strong><strong>:</strong> ১১ বছরের মেয়ের গণধর্ষণ, পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড। গত মার্চে অসমের নওগাঁয় নাবালিকার ওপর নৃশংস যৌন নির্যাতনে প্রধান অভিযুক্ত ১৯ বছরের জাকির হুসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে চরম সাজা দিলেন জেলা ও দায়রা বিচারক রীতা কর। তাকে শিশু, নাবালকদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষিত রাখার আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেন তিনি। গত ৪ সেপ্টেম্বর জাকিরকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি বাকি ৫ অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক। তদন্তকারী টিমের সদস্য নওগাঁর এসিপি রিপুল দাস জানান, চলতি সপ্তাহের শুরুতে আরও ২ নাবালক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে জুভেনাইল আদালত। ধর্ষিতা নাবালিকা ক্লাস ফাইভের পড়ুয়া। গত ২৩ মার্চ নগাঁওয়ের ধানিয়াভেটি লালুং গাঁওয়ে বাড়িতে একলা ছিল মেয়েটি। আচমকা বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেয় জাকির ও তার সঙ্গীরা। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় তারা। মেয়েটিকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরদিন সে মারা যায়। বাটাদ্রাভা স্টেশনে মামলা দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ধর্ষণ, বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে ২৮ এপ্রিল আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। নাবালিকা গণধর্ষণ, খুনে রাজ্যব্যাপী প্রবল শোরগোলের পর অসম সরকার বিধানসভায় ঘোষণা করে, পরের অধিবেশনেই ধর্ষণ রুখতে কঠোর বিল আনা হবে, পুলিশ বাহিনীতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ৩০ শতাংশ মহিলা সাব ইনস্পেক্টর নিয়োগ করা হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল টোল ফ্রি ১৮১-শাখি হেল্পলাইন চালু করেন বিপন্ন মহিলাদের জন্য। রাজ্যে মহিলা ও শিশু ধর্ষণ, হত্যার মামলার বিচারে আলাদা ফাস্ট ট্রাক আদালত গড়ার প্রস্তাবেও সম্মতি দেয় গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
from home https://ift.tt/2M9S2QQ
No comments:
Post a Comment
Please let me know