নয়াদিল্লি ও পুণে: বিরুদ্ধ মত প্রকাশ, প্রতিবাদ গণতন্ত্রের সেফটি ভালভ। প্রতিবাদ জানানোর অধিকার না দেওয়া হলে একসময় বিস্ফোরণ হবেই। ৫ মানবাধিকার কর্মীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে এই অভিমত জানাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। গতকাল মহারাষ্ট্র পুলিশ দেশের কয়েকটি রাজ্যে তল্লাশি, অভিযান চালিয়ে মাওবাদী যোগসাজশের অভিযোগে ভারভারা রাও, ভার্নন গনজালভেস, অরুণ ফেরেইয়া, সুধা ভরদ্বাজ, গৌতম নওলাখার মতো মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার করে। আজ সেই মহারাষ্ট্র পুলিশকে শীর্ষ আদালত বলেছে, তাদের হেফাজতে থাকা ওই ৫ জনকে জেলে পাঠানো যাবে না, ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতেই নজরবন্দি রাখতে হবে। মহারাষ্ট্র পুলিশের উদ্যোগে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানতে চায়, কেন গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে পুণের কাছে কোরেগাঁও-ভিমা গ্রামে দলিত ও উচ্চবর্ণের লোকজনের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের ৯ মাস বাদে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল। পুণে থানায় দায়ের করা এফআইআর অনুসারে এলগার পরিষদ কর্মসূচি পালনের সময় প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়া হয়েছিল, যা থেকে হিংসার সূত্রপাত হয়। ওই ৫ জনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার, অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়ক, দেবকী জৈন সমেত পাঁচ বুদ্ধিজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মহারাষ্ট্র সরকার ও রাজ্য পুলিশকেও নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ৫ মানবাধিকার কর্মীর আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় যে রায় দিয়েছে, তা গ্রেফতার হওয়া সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ওঁদের যাঁর যাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি। ট্রেড ইউনিয়নকর্মী তথা আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজকে তাঁর ফরিদাবাদের বাড়িতে আটক রাখা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী গৌতম নওলাখাকে তাঁর দিল্লির বাড়িতে রাখা হয়েছে। গনজালভেস, ফেরেইয়াকে গতকাল রাতে পুণেতে নিয়ে যাওয়া হয়।
from home https://ift.tt/2PKmnZz
No comments:
Post a Comment
Please let me know