meta content='PcpJKOmoday5SZ2ES5Jk' name='bulletprofit'/> Ayyobpatel.bloggr.com: ব্যাঙ্কে ফোন করে পছন্দের ব্যবসায়ীদের লোন পাইয়ে দিতেন ‘নামদাররা’, প্রতিটা পাইপয়সা উদ্ধার করব, কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ মোদীর

Followers

ব্যাঙ্কে ফোন করে পছন্দের ব্যবসায়ীদের লোন পাইয়ে দিতেন ‘নামদাররা’, প্রতিটা পাইপয়সা উদ্ধার করব, কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ মোদীর

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিশানায় কংগ্রেস, গাঁধী পরিবার। শনিবার ভারতের ডাক বিভাগের পেমেন্ট ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে মোদী অভিযোগ করেন, নির্বিচারে নিজেদের পছন্দের কিছু ব্যবসায়ীকে ব্যাঙ্কঋণ বিলিয়ে অর্থনীতিকে ‘ল্যান্ডমাইনের’ ওপর ফেলে গিয়েছে কংগ্রেস। পূর্বতন ইউপিএ সরকারের ‘ফোন করলেই লোন’ স্কিম-কে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, একটি ‘নামদার’ পরিবার থেকে ব্যাঙ্কে ফোন যেত, আর বাছবিচার না করেই ওদের কাছের বিশেষ কিছু ধনী ব্যবসায়ীকে লোন দেওয়া হোত। এর ফলেই ব্যাঙ্কগুলির অনুপাদক সম্পদ বা অনাদায়ী ঋণের বোঝা বেড়েছে। তবে ঋণ শোধ না করে ফেলে রাখা লোকজনের কাছ থেকে প্রতিটি পাইপয়সা আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মোদী। সবচেয়ে বেশি ব্যাঙ্কঋণ শোধ না করা ১২ জনের কেউই বর্তমান এনডিএ সরকারের আমলে লোন পাননি বলে দাবি করেন তিনি। এই ব্যবসায়ীরাই মোট ১ লক্ষ ৭৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি এনপিএ অর্থাত অনুপাদক সম্পদ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের ইউপিএ সরকার বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ গোপন করে গিয়েছে, অন্যদিকে তাঁর সরকার সমস্যাটি উপলব্ধি করেছে, ঋণ ফাঁকির মোকাবিলায় কঠোর আইন করে সেই অর্থ আদায়ে উদ্যোগী হয়েছে। এমন অনাদায়ী ঋণের আসল পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটি হওয়া সত্ত্বেও আগের সরকার তা ২ থেকে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা বলে দেখিয়েছে। এভাবে তারা দেশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গতকালই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী মোদী সরকারকে আক্রমণ করে অভিযোগ করেন, ইউপিএ জমানায় অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ছিল ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা, যা বিজেপি আমলে লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা মোদীর দাবি, ২০১৪-য় ক্ষমতায় এসে তাঁরা দেখেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে লুঠ করা হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ব্যাঙ্কঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫২ লক্ষ কোটি টাকা, অথচ আগের ৬টি দশকে তা ছিল মাত্র ১৮ লক্ষ কোটি টাকা। যাবতীয় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই লোন দেওয়া হোত। শুধু নামদারদের একটা ফোন যেত ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্ককর্তারা তা মানতে বাধ্য হতেন, কেননা তাদের নিয়োগ করেছিলেন ওরাই। টাকা কোনওদিন ফেরত আসবে না জেনেও লোন দেওয়া হোত। এতে দেশের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। আর ওই ঋণগ্রহীতারা যখন টাকা ফেরত দিতে পারতেন না, তখন ব্যাঙ্কগুলির ওপর চাপ দেওয়া হত আরও সময় দেওয়ার জন্য, তারপর সেই লোন পুনর্বিন্যাস করা হত নতুন করে অর্থ দিয়ে। তিনি বলেন, আমি ফের আশ্বাস দিচ্ছি, নামদারদের জন্য আটকে থাকা ব্যাঙ্কের সব অর্থের প্রতিটি পাইপয়সা উদ্ধার করা হবে। তা গরিবদের কাজে লাগবে।

from home https://ift.tt/2LMwE3S

No comments:

Post a Comment

Please let me know