<strong>পালেমব্যাঙ:</strong> এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে সে এক আবেগঘন মুহূর্ত। উত্তরপ্রদেশের এক চাষীর ছেলে আজ ১০ এম এয়ার পিস্তলের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে একাধিক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে ভারতের জন্যে সোনা ছিনিয়ে এনেছেন। এই প্রথমবার সিনিয়রদের পর্যায়ে অংশ নিয়ে ১৬-র কৈশোর শ্যুটিং চলাকালে দেখিয়েছেন সেই পরিণত মানসিকতা। সেই মানসিকতার ওপর ভরসা করেই আজ তিনি ভারতের জন্যে নিয়ে এসেছেন সোনা। প্রসঙ্গত এশিয়ান গেমসের ইতিহাস তিনি হল পঞ্চম ভারতীয় যিনি ভারতকে এশিয়ান গেমসে সোনা এনে দিয়েছেন। সৌরভের বিপরীতে আজ ছিলেন টোমোইউকি মাতসুদা। তিনি হলেন ২০১০-এর বিশ্বচ্যম্পিয়ন। তবে আজকের মঞ্চে শুধু সৌরভ নন, আরেক ভারতীয় ২৯ বছরের অভিষেক বর্মাও ভারতের জন্যে ব্রোঞ্জ ছিনিয়ে এনেছেন ওই একই ইভেন্টে। চাষীর ছেলে সৌরভ। উত্তরপ্রদেশের মেরঠে তাঁর বাড়ি। জাপানের মাতসুদা ২৩ নম্বর শটে মিসফায়ার করেন এবং ছিটকে যান দ্বিতীয় স্থানে। তিনি জিতেছেন রুপো। তবে চৌধুরীর থেকে সবসময়ই একটু বেশি আশা ছিল সকলের, কারণ তিনি জার্মানিতে কয়েক মাসে আগে হয়ে যাওয়া জুনিয়র বিশ্বকাপেও সোনা জিতেছিলেন। তবে কেউ আশা করেননি এত কম বয়সে জসপল রাণা, রণধীর সিংহ, জিতু রাই এবং রোঞ্জান সোধির রাস্তায় হাঁটবেন সৌরভ। তবে আজ পারফর্ম করার সময় বাড়তি কোনও চাপ ছিল না আমার ওপর, মন্তব্য সৌরভের। আমি শুধু আমার সেরা দিয়েছি, জানিয়েছেন আজকের সোনাজয়ী কিশোর। মাত্র তিন বছর আগে খেলা শুরু করেন সৌরভ। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সৌরভ তাঁর প্রশিক্ষণ শুরু করেন, বাঘপাটের কাছে বেনোলিতে অমিত শেরোনস অ্যাকাডেমিতে। তবে বাড়ি থাকলেই বাবাকে চাষবাসের কাজে সাহায্য করেন এই সোনার ছেলে। যদিও শ্যুটিংয়ের প্রশিক্ষণ ছেড়ে, সেভাবে বাড়িতে থাকতেই পারেন না সৌরভ। এদিকে ওই একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয়ী অভিষেক হরিয়ানার রোহতকের ছেলে। পেশায় আইনজীবী অভিষেকও মাত্র তিন বছর আগেই শ্যুটিং নিয়ে তাঁর প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
from home https://ift.tt/2LdYJBc
No comments:
Post a Comment
Please let me know