মথুরা: যেখানে দরকার মোট ১২৬টির, সেখানে কেন মাত্র ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফরাসি সংস্থা দাসল্ত এভিয়েশনের সঙ্গে চুক্তি করল কেন্দ্রের সরকার, প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। দলের জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, এটা সত্যিই বিস্ময়কর। জরুরি ভিত্তিতে হঠাত লাগতেও পারে, এটা মাথায় রেখে কেন সরকার ফরাসি কোম্পানিকে সব যুদ্ধবিমান একসঙ্গে পাঠাতে বলেনি, তাও জানতে চান তিনি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, প্রথম দফার যুদ্ধবিমানগুলি ২০১৯-এ সরবরাহ করা হবে, বাকিটা ২০২২-এ। আচমকা প্রয়োজন হলে সবগুলিই ২০১৯-এর মধ্যে সরবরাহ করা উচিত। ২০১৫ সালে তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর জানান, বিপুল দাম চোকাতে হবে, এই কারণে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার ঠিক করেছে, আগের ১২৬টি ফরাসি যুদ্ধবিমান কেনার প্ল্যান বাতিল করে মাত্র ৩৬টি কিনবে। রাফাল চুক্তিটি ন্যয্য হয়ে থাকলে সরকার তার তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়তে কেন ভয় পাচ্ছে, প্রশ্ন তুলে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এক কোটিপতি বন্ধুর স্বার্থ দেখতে গিয়ে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে। বলেন, কী করে যুদ্ধবিমানপিছু দাম ৫২৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬৭০ কোটি টাকা হল? তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত কেন ৭০ বছরের বেশি পুরানো স্বচ্ছতার রেকর্ড থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব একটি সংস্থাকে উপেক্ষা করে বরাত দেওয়া হল মাত্র ১২দিন বয়সের কোম্পানিকে যাদের এক্ষেত্রে কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। রাফাল ডিলটি ইউপিএ জমানায় বাস্তবায়িত না হলেও তারা এ সংক্রান্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রেখেছিল বলে দাবি করেন কংগ্রেস মুখপাত্রটি। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেন, তাঁদের সরকার সম্পূর্ণ অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধবিমানগুলি কেনা হচ্ছে আগের ইউপিএ সরকারের সময় ঠিক হওয়া দামের চেয়ে ২০ শতাংশ কম মূল্যে।
from home https://ift.tt/2PX6Rtl
No comments:
Post a Comment
Please let me know