নয়াদিল্লি: সমকামী যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করা ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৭৭ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ পিটিশনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের বহু প্রতীক্ষিত রায় বেরতে পারে আগামীকাল। গত ১৭ জুলাই সমকামী অধিকার আন্দোলনকর্মী সহ বিষয়টির সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় ঘোষণা স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার প্রাথমিক ভাবে পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জবাব পেশ করার জন্য শুনানি মুলতুবি চাইলেও পরে সম্মতির ভিত্তিতে দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে দেখার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনি ধারার বৈধতা নির্ধারণের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেয়। কেন্দ্রের পক্ষে বলা হয়, শিশু ও জন্তুজানোয়ারদের বেলায় ওই আইনি বিধির অন্য দিকগুলি যেমন আছে, তেমনই বহাল রাখা উচিত। ৩৭৭ ধারায় ‘প্রকৃতিবিরোধী অপরাধে’র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যে-ই স্বেচ্ছায় প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ করে কোনও পুরুষ, মহিলা বা জন্তু-জানোয়ারের সঙ্গে পায়ুসঙ্গম করবে, তাকে যাবজ্জীবন কারাবাস বা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের কারাবাসের সাজা দেওয়া হবে, জরিমানাও হতে পারে। কারাবাসের মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধে প্রথম আপত্তি জানায় স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী নাজ ফাউন্ডেশন।২০০১-এ দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে তারা ৩৭৭ ধারাকে ‘বেআইনি’ বলে। তবে ২০০৯-এ হাইকোর্ট সমলিঙ্গের দুজন মানুষের সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে রায় দেয়। সেই রায় ২০১৩-য় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত তাদের রায় রিভিউ করার আবেদনও বাতিল করে। কিন্তু সমলিঙ্গের দুজন মানুষের যৌন সম্পর্ক অপরাধ, আগের এই রায় আবার ফিরিয়ে আনে শীর্ষ আদালতই। গত ১০ জুলাই ৫ বিচারপতির বেঞ্চ অবশ্য স্পষ্ট বলে দেয়, তারা কিউরেটিভ পিটিশনগুলি বিচার করবে না, শুধুমাত্র এ বিষয়ে দায়ের হওয়া নতুন পিটিশনগুলি খতিয়ে দেখবে। রিট পিটিশনগুলির বিরোধিতা করেছে অ্যাপোসটলিক অ্যালায়েন্স অব চার্চেস, উত্কল খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, কয়েকটি এনজিও, সুরেশ কুমার কৌশল নামে বেশ কয়েকজন যাঁরা দিল্লি হাইকোর্টের ২০০৯ এর রায়কেও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান।
from home https://ift.tt/2wN8O3H
No comments:
Post a Comment
Please let me know