নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর: দায়িত্ব, কর্তব্য পালনে গাফিলতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত মেজর লিতুল গগৈ। গত মে মাসে শ্রীনগরের হোটেলে স্থানীয় এক যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার জেরে তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। তাঁকে সেনার কোর্ট অব এনক্যোয়ারিতে বারণ থাকা সত্ত্বেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে ‘মেলামেশা’ ও ‘অভিযান চালানোর এলাকায় নিজের কাজের জায়গা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায়’ দোষী ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে গগৈয়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হল বলে সেনা সূত্রে খবর। তারা জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শুরুর আগে এবার সামারি অব এভিডেন্স অর্থাত তথ্যপ্রমাণের মুখে পড়তে হবে তাঁকে। গত বছর ৯ এপ্রিল শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন কাশ্মীরে পাথরবাজ জনতার রোষ থেকে নিজে ও বাহিনীর জওয়ানদের বাঁচাতে নিজের গাড়ির বনেটে এক স্থানীয় যুবককে বেঁধে মানবঢাল করে ঘুরিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মেজর গগৈ। তবে সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসদমন অপারেশনে ‘ধারাবাহিক প্রয়াসে’র স্বীকৃতি হিসাবে তাঁকে কমেন্ডেশন কার্ড প্রদান করে সম্মান জানান। সূত্রটি জানিয়েছে, কোর্ট অব এনক্যোয়ারির তদন্ত রিপোর্ট চলতি মাসের গোড়াতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়, তারপর শুরু হয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া। সেনা কর্তৃপক্ষ ২৩ মে ঘটনার কোর্ট অব এনক্যোয়ারির নির্দেশ দেয়। সেনাপ্রধান পহেলগাঁওয়ে বলেছিলেন, কোনও অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে গগৈকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
from home https://ift.tt/2NmlzIJ
No comments:
Post a Comment
Please let me know