নয়াদিল্লি: মাসিক ‘মন কি বাত’ ভাষণে যারা ধর্ষণ করে, তাদের দেশবাসী ক্ষমা করবে না, এ ব্যাপারে সংসদে পাশ হওয়া বিলটি মহিলা ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে জানালেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিলটি লোকসভায় গৃহীত হলেও বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় পাশ করানো সম্ভব হয়নি। তবে আমি মুসলিম মহিলাদের কথা দিচ্ছি, তাঁরা সামাজিক ন্যয়বিচার পাবেন, সারা দেশ পাশে রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে এগোলে গরিব, পিছিয়ে পড়া, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জীবনেও বদল আনা যায় বলে অভিমত জানান তিনি। মোদী বলেন, কোনও সভ্য সমাজই দেশের মহিলাদের প্রতি কোনও অন্যায়, অবিচার সহ্য করে না। যারা ধর্ষণ করে তাদেরও দেশবাসী সহ্য করবে না। এটা মাথায় রেখেই সংসদে অপরাধী আইন সংশোধন বিল পাশ করে কঠোরতম সাজার সংস্থান রাখা হয়েছে। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছরের ন্যূনতম সাজা হবে, ১২-র কমবয়সি মেয়েকে ধর্ষণে মিলবে মৃত্যুদণ্ড। সম্প্রতি কয়েকটি আদালত মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে ধর্ষণে দোষীদের কঠোরতম সাজা দিয়েছে। নতুন আইন মহিলা, মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি। বলেন, সামাজিক পরিবর্তন ছাড়া আর্থিক প্রগতি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রসঙ্গত, তিন তালাক বিরোধী আইনটি বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে তাতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার বিধি যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি ছাড়পত্র পাওয়া বিলটিতে স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার বিধিও রয়েছে। এখন ওই আইনে একমাত্র নির্যাতিতা, তাঁর সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক থাকা আত্মীয়স্বজন ও বিয়ের ফলে আত্মীয় হয়ে ওঠা লোকজনই এফআইআর দায়ের করতে পারবেন। ভাষণে সংসদের দুই কক্ষের কাজকর্ম নিয়ে তিনি বলেন, সংসদে যখনই কোনও আলোচনা হয়, তার বিষয়বস্তু হয় অচলাবস্থা, হইচই, সভার কাজকর্ম থমকে থাকা। কিন্তু ভাল কিছু হলে তেমন গুরুত্ব পায় না। দিনকয়েক আগেই বর্ষাকালীন অধিবেশন শেষ হল। আপনারা জেনে খুশি হবেন, লোকসভায় ফলদায়ক কাজ হয়েছে ১১৮ শতাংশ, রাজ্যসভায় ৭৪ শতাংশ। সব এমপিরাই দলীয় স্বার্থের ওপরে উঠে বাদল অধিবেশনকে সবচেয়ে ফলদায়ক করে তুলেছেন, যেজন্য লোকসভায় ২১টি, রাজ্যসভায় ১৪টি বিল পাশ হয়েছে। সংসদের গত অধিবেশনটি সামাজিক ন্যয় ও যুবকল্যাণের অধিবেশন হিসাবে চিরকাল মনে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যুবক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের উপকার হয়, এমন বেশ কিছু বিল এই অধিবেশনে গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে আছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জাতীয় কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার বিলটিও। এটা সামাজিক ন্যয়ের লক্ষ্য পূরণে আমাদের অভিযানে আরও একটি পদক্ষেপ বলে প্রমাণিত হবে।
from home https://ift.tt/2MU0Fn2
No comments:
Post a Comment
Please let me know