<strong>হায়দরাবাদ</strong><strong>:</strong> রাহুল গাঁধীকে ‘ভাঁড়’, কংগ্রেসকে রাজ্যের ‘সবচেয়ে বড় শত্রু, এক নম্বর ভিলেন’ বললেন তেলঙ্গানার অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানা বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেই ১০৫টি কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন তিনি, পাশাপাশি নিশানা করেন কংগ্রেস সভাপতিকে। বলেন, রাহুল গাঁধী কী, সবাই জানেন। দেশের সবচেয়ে বড় ভাঁড়। সারা দেশ দেখেছে, লোকসভায় প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়ে কীভাবে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন, চোখ মেরেছেন রাহুল। কংগ্রেসের দিল্লির সুলতানি মানসিকতার ঐতিহ্য রপ্ত করেছেন রাহুল। কংগ্রেসের দিল্লি সাম্রাজ্যের বৈধ উত্তরাধিকারী তিনি। সেজন্যই জনসাধারণকে আবেদন করছি, আমরা যেন কংগ্রেস, দিল্লির দাস না হই। কংগ্রেস তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, অর্থহীন, বাছবিচারহীন অভিযোগ তুলছে বলে দাবি করে কেসিআর বলেন, তেলঙ্গানার সবচেয়ে বড় শত্রু ওরা। এও বলেন, জওহরলাল নেহরু ১৯৫৬-র ১ তেলঙ্গানাকে পরাস্ত করেছিলেন (রাজ্য পুনর্গঠনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ অন্ধ্রপ্রদেশ গঠন)। ওটা তেলঙ্গানার কাছে কালা দিন। তারপর ইন্দিরা গাঁধীও স্বৈরতন্ত্রী হয়ে ওঠেন। তারাই পৃথক তেলঙ্গানা তৈরি করেছে, কংগ্রেসের এই দাবিতে এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। তেলঙ্গানার কংগ্রেস নেতাদেরও তোপ দেগে তিনি বলেন, ওরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে টিকিট ভিক্ষা করেন। তেলঙ্গানায় আমরা এটা হতে দিতে চাই না। তেলঙ্গানার আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন করা চলবে না। তুলনামূলকভাবে বিজেপির সমালোচনায় কিছুটা নরম ছিলেন কেসিআর। তাঁর বক্তব্য, তেলঙ্গানার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তেলঙ্গানাতেই। তবে বিজেপির হাত ধরার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন কেসিআর। তাঁর দাবি, টিআরএস ১০০ শতাংশ ধর্মনিরপেক্ষ দল। কী করে বিজেপির হাত ধরব? কিন্তু কেন টিআরএস কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে কিছু ইস্যুতে সমর্থন করছে, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা একেবারেই ইস্যুভিত্তিক ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও একেবারেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী স্তরের বলে দাবি করেন তিনি। আরও বিকেন্দ্রীকরণ ও রাজ্যগুলির হাতে বেশি ক্ষমতা দেওয়ার দাবিতে একটি অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি ফ্রন্ট গড়ার তিনি এগচ্ছেন বলে জানান কেসিআর।
from home https://ift.tt/2oKMd30
No comments:
Post a Comment
Please let me know