<strong>নয়াদিল্লি:</strong> দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গণনা শেষ। ঘোষিত ফল। এবিভিপিকে হারিয়ে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি থেকে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক; সবকটি পদই বাম-জোটের দখলে। জেএনইউ-এ এবার একসঙ্গে লড়ে আইসা, ডিএসএফ, এসএফআই এবং এআইএসএফ। এবিভিপি-র প্রার্থী ললিত পাণ্ডেকে হারিয়ে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে জয়ী আইসার এন সাই বালাজি। সহ-সভাপতি পদে জয়ী ডিএসএফ-এর সারিকা চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক এসএফআই-এর এজাজ আহমেদ এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী এআইএসএফ-এর অমুথা জয়দীপ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত দশটায় প্রথম গণনা শুরু হয়। তারপর গণনাকেন্দ্রে এবিভিপি-র সদস্যরা জোর করে ঢুকে পরে বন্ধ ব্যালট বাক্স ও পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই গণনা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় গণনা। যদিও এবিভিপির সদস্যরা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তাঁরা পাল্টা দাবি করেন, তাঁদের না জানিয়েই ভোটগণনা শুরু করে দেওয়া হয়। শনিবার সারাদিনই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তপ্ত ছিল। মাঝেমধ্যেই বিক্ষোভ, আন্দোলন, হিংসার খবর এসেছে। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়া, শিক্ষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। ছোট একটি সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় ১০ জন জখম হন। বসন্তকুঞ্জ থানায় এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলাও দায়ের হয়। এক বিবৃতি জারি করে জেএনইউ ইলেকশন কমিটির পক্ষ থেকে গণনা প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোন দল গণনাকেন্দ্রে ঢুকে হামলা চালিয়েছে, সেব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি কমিটির পক্ষ থেকে। তবে এবিভিপি-র তোলা অভিযোগ মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন কমিটি। তাঁদের দাবি, সমস্ত পক্ষকে জানিয়েই গণনা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সংসদের প্রাক্তন সহ-সভাপতি শেহলা রশিদ টুইটারে এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেন। তাঁর কথায়, এধরনের ঘটনা জেএনইউ-এর ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি।
from home https://ift.tt/2xnFgZT
No comments:
Post a Comment
Please let me know