নয়াদিল্লি: কোরেগাঁও-ভিমা হিংসা মামলায় মাওবাদী যোগসাজশ থাকার অভিযোগে ৫ বামপন্থী বিদ্বজ্জনের গ্রেফতারির স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ আছে কিনা, দুদিন বাদে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনজালভেস, সুধা ভরদ্বাজ, গৌতম নওলাখা, এই পাঁচ সমাজকর্মীর যাঁর যাঁর বাড়িতে বন্দিদশার মেয়াদও আজ ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও বেঞ্চের সদস্য। বেঞ্চ বলেছে, প্রতিটি অপরাধমূলক তদন্ত হয় অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগের সমর্থনে তথ্যপ্রমাণ কিছু আছে কিনা, তা দেখতে হবে। কোনও বড়সড় গাফিলতি, ত্রুটি হয়ে থাকলে তারা এই মামলায় বিশেষ তদন্ত দল (সিট)কে দিয়ে তদন্তের আবেদন খতিয়ে দেখবে বলেও জানায় বেঞ্চ। ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার, দুই অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েক ও দেবকী জৈন, সমাজতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সতীশ দেশপান্ডে ও মানবাধিকার আইনজীবী মাজা দারুওয়ালা ওই ৫ জনের গ্রেফতারির ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে মু্ক্তির দাবিও করেছেন। বুধবার তার চূড়ান্ত শুনানি ধার্য হয়েছে। ওই বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতার করা মহারাষ্ট্র পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র আজ বলে, সুপ্রিম কোর্টের ওঁদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে পেশ করা পিটিশন গ্রহণ করা উচিত হয়নি। সর্বোচ্চ আদালত নয়, বরং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটেরই ওই ৫ জনের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকলে তা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সু্প্রিম কোর্টে মীমাংসা হয়ে গেলে গ্রেফতার অভিযুক্তরা যাতে একইসঙ্গে বিচারবিভাগের অন্য কোনও মঞ্চে একই ইস্যুতে রেহাই না পান, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। গত ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এলগার পরিষদ সম্মেলনের পর কোরেগাঁও ভিমা গ্রামে অশান্তি, হিংসার পর দায়ের হওয়া এফআইআরের ব্যাপারে মহারাষ্ট্র পুলিশ গত ২৮ আগস্ট গ্রেফতার করে পাঁচ বুদ্ধিজীবীকে। সুপ্রিম কোর্ট গত ৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের গ্রেফতারি সম্পর্কে পুণে পুলিশের শীর্ষকর্তার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলে, উনি সর্বোচ্চ আদালতের ‘দুর্নাম করছেন’।
from home https://ift.tt/2QCbbyf
No comments:
Post a Comment
Please let me know